উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে চেলসি ও ম্যানচেস্টার সিটি। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে পর্তুগালের পোর্তো শহরে। এরইমধ্যে পোর্তোতে পৌঁছেছে দল দুটি। আর ক্লাব দুটোর সমর্থকরা আগে থেকেই অবস্থান করছেন সেখানে। করোনার কারণে স্টেডিয়ামে আসন সংখ্যা সীমিত। তবুও স্টেডিয়ামের সামনে ভিড় করছেন সমর্থনরা।
পোর্তোর রাস্তা ঘাট, অলিগলি এখন ভিনদেশিদের পদচারণায় মুখর। পুরো নগর জুড়েই সাজ সাজ রব। উপলক্ষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলার অভিজ্ঞতা চেলসির জন্য নতুন নয়। তবে ম্যানচেস্টার সিটির ফুটবলারদের সঙ্গে, সমর্থকদের জন্য এ এক নতুন অভিজ্ঞতা আবেগও বলা যায়। কারণ ক্লাবটির ইতিহাসে এই প্রথম ইউরোপ সেরার শিরোপা মঞ্চে উটেছে।
করোনার কারণে শেষ মুহূর্তে পরিবর্তন হয় ফাইনালের ভেন্যু। ইস্তাম্বুল থেকে সরিয়ে খেলার পোর্তোতে করা নতুন ভেন্যু। পর্তুগালে কোভিড পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকায়, মাঠে বসে ফাইনাল দেখার সুযোগ পাবেন সমর্থকরা। তবে সেটাও সীমিত আকারে। ৫০ হাজার ধারণ ক্ষমতার দৃষ্টিনন্দন এস্তাদিও দো দ্রাগাওয়ে ১৬ হাজার পাঁচশ সমর্থক মাঠে প্রবেশের সুযোগ পাবেন। সঙ্গে থাকতে হবে কোভিড নেগেটিভ সনদ। যার জন্য গুনতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের অর্থ। এত কিছুর পরও প্রিয় দলকে সমর্থন দিতে এসে এসব হাসি মুখে মেনে নিচ্ছেন সমর্থকরা।
সমর্থকরা বলছেন, ফাইনাল দেখতে পোর্তো সফরে আমার যে অর্থ ব্যয় হবে, তার চেয়ে বেশি খরচ হচ্ছে কোভিডের পিসিআর ও অ্যান্টিজেন টেস্টে। চারদিনের ব্যবধানে আমাকে বেশ কয়েকবার পরীক্ষা করাতে হবে।
ফাইনালের টিকিটের দামও বেশ চড়া। সর্বনিম্ন ৭০ থেকে সর্বোচ্চ ৬০০ ইউরো খরচ হবে একটি টিকিটের জন্য। চেলসি ও ম্যানসিটির ৬ হাজার করে দর্শক মাঠে বসে খেলা দেখতে পারবেন। পোর্তোতে আসা অনেকের কাছেই টিকিট নেই। তারপরও দলকে সমর্থন দিতে হাজার মাইল পথ পাড়ি দেওয়া ফুটবল পাগল এই ভক্তদের।